আগামীকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে এ দু’টি ইউনিটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বেলা ১১টায় এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। পরে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে দুই মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে, কাউন্সিল অধিবেশনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পদপ্রত্যাশী নেতারা উদ্যানের ভেতর ও বাইরে ছোট-বড় ব্যানার ও পোস্টার লাগিয়েছেন। উদ্যানজুড়ে সাজ সাজ রব।
তবে দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ। এক্ষেত্রে উত্তরের সভাপতি এবং দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মধ্যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ততা, চাঁদা ও টেন্ডারবাজি, অনুপ্রবেশকারী, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে ঢুকানোসহ নেতাদের নানা অপকর্মের সঙ্গে জাড়িত থাকার অভিযোগ হাইকমান্ডের হাতে। এছাড়া অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা বয়সের ভারে বেশ ক্লান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে ঢাকার দুই মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে। স্বাভাবিক কারণেই বর্তমান কমিটির বেশির ভাগ নেতাই বাদ পড়ার ঝুঁকিতে আছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা, ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সেসময়ের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
Discussion about this post