
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায় কনেশ্বর ইউনিয়নের উত্তর সৈয়দবস্তা গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণীপড়ুয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক স্কুল ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে ডামুড্যা থানা পুলিশ। ধর্ষক মামুন গোলদার (৩৮) একই গ্রামের মৃত হারুন গোলদারের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর সৈয়দবস্তা গ্রামের দিনমজুর নুরুল হকের মেয়ে ৬৪ নম্বর উত্তর সৈয়দবস্তা দাইমুদ্দিন বেপারি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় একই গ্রামের মৃত হারুন গোলদারের ছেলে মামুন গোলদার (৩৮) খাবারের লোভ দেখিয়ে মেয়েটির হাত ধরে স্কুলের পাশে নদীর ধারে ঝোপের কাছে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন। মেয়েটির আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় বাবুল নামের যুবক দেখে। তখন মামুন বাবুলকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী বাবলু মিয়া (৩০) বলেন, আমি নদীতে গোসলের জন্য যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে নদীর কিনারায় ঝোপ থেকে একটি মেয়ের চিৎকার শুনি। পরে আমি একটু এগিয়ে দেখি যে মামুন একটা মেয়েকে ধর্ষণ করতেছে। আমি মামুনকে হাতেনাতে ধরার জন্য ওদিকে যাই। কিন্তু শব্দ হওয়াতে মামুন আমাকে দেখে ফেলে। আমাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওকে ধরার অনেক চেষ্টা করি কিন্তু পাইনি। এর আগে থেকেই তার অনেক কুকীর্তি রয়েছে। সে বিকৃত রুচির মানুষ। এমনকি পশুকেও ছাড়েনি সে। এ ব্যপারে মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়ে একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। অনেক কষ্টে ওকে স্কুলে পাঠাই। পড়ালেখা শেখার জন্য। আজ আমার মেয়ের সর্বনাশ করে দিল মামুন। আমি এর বিচার চাই।ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, কনেশ্বর ইউনিয়নে এক প্রাইমারি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। তার পরই আমরা রাতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। অন্যদিকে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Discussion about this post