শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ভেদরগঞ্জ-কাশিমপুর সড়কের নির্মাণ কাজ গত ২ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। আর এক মাস না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কটির কার্পেটিং।
এমন ঘটনায় এলাকাকাসীর মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, শুরু থেকেই সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। তড়িঘড়ি করে আবারও সড়কের মেরামত কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার।
জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ভেদরগঞ্জ-কাশিমপুর এলাকায় পাঁচ হাজার ৪৯০ মিটার পাকা সড়ক মেরামত কাজের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭৪ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি পায় শরীয়তপুর সদরের শেখ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের জুন কাজ শুরু হয়। গত ২ ডিসেম্বর ঠিকাদার মানিক শেখ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে তা ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার হয়েছে। এ ছাড়া বিটুমিনও কম দেওয়া হয়েছে। সড়কটি দিয়ে কোনো গাড়ি চললেই পাথরগুলো উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল হোসেন, মোবারক খাঁ ও শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, ঠিকাদার ভালোভাবে কাজ করেনি। কাজের সময় কেউ বাধা দেয়নি। নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করে গেছে। এক মাস না হতেই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা সড়কের মেরামত চাই না। নতুন করে সড়কটি আবার নিমার্ণ করা হোক।
অটোরিকশা চালক ফরহাদ বলেন, ‘রাস্তায় বিটুমনসহ সবকিছু কম দেওয়া হয়েছে। তাই সড়কটি দিয়ে কোনো গাড়ি চললেই পাথরগুলো উঠে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টারপ্রাইজের মালিক মানিক শেখ দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘রাস্তার কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা এ রকম হতে পারে।‘
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান ফরাজী বলেন, ‘দু-একদিনের মধ্যে রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। দ্রুত রাস্তার কাজ চলছে।
Discussion about this post