
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং গুদামের দারোয়ান মো. রিদওয়ান আলীসহ দুইজনকে র্যাব সদস্যরা আটক করেছে। এ সময় গুদামে কর্মরত আরো দুই কর্মকর্তা পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। আজ শুক্রবার র্যাব এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গুদামটিও সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে।কয়েক কোটি টাকার চাল লোপাটের অভিযোগে কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (খাদ্য গুদাম নিয়ন্ত্রক) অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদী তীরের সরকারি খাদ্য গুদামটি জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল চাল কেলেংকারির ঘটনা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিবিরে সরবরাহের জন্য গুদামে মওজুদ করে রাখা চালের বস্তা থেকেই টন টন চাল লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহেও চাল লুটপাটের অভিযোগে গুদামের দুইজন শ্রমিককে হাতে নাতে আটক করা হয়েছিল। তারপরেও গুদামের চালের বস্তা থেকে লুটের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।খাদ্য গুদামে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম মাহফুজুর রহমান। ইউএনও এ বিষয়ে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল গুদামে অভিযান চালায়। এ সময় গুদামে জালিয়াতির বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। গুদাম পরিদর্শনে দেখা গেছে, ৫০ কেজির চালের বস্তার স্তুপের পার্শ্বে শত শত ৩০ কেজির চালের বস্তা রয়েছে।অভিযানকালে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে, ৫০ কেজির বস্তা থেকে চাল পাল্টিয়ে ৩০ কেজির বস্তা করা হয়। পরবর্তীতে ৩০ কেজির বস্তা থেকেও বের করে নেওয়া হয় ৫ কেজি করে চাল। বস্তা থেকে চুরির চাল কর্মকর্তারা বাইরের বাজারে বিক্রি করে দেয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে গুদামের প্রতিটি বস্তা থেকেই দিনরাত চাল চুরির ঘটনা চলে আসছে। প্রাথমিক তদন্তে চাল লুটের ঘটনা প্রমাণিত হবার পরই কক্সবাজার সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও দারোয়ান মো. রিদওয়ান আলীকে আটক করা হয়। ইউএনও জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজার র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Discussion about this post