কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নূরুন্নাহার (২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নূরুন্নাহার ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। তবে নূরুন্নাহারকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পরিবারের। তারা ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়া। সে পেশায় মৎস্যজীবী। মাস দেড়েক আগে সে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফাবাদ এলাকার হাছু মিয়ার মেয়ে নূরুন্নাহারকে বিয়ে করে। তাদের উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ঘটনার দিন রবিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী বিলে মাছ ধরতে যায় বাবুল। সকাল ৭টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে নূরুন্নাহারকে ডাকতে থাকে। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে নূরুন্নাহারকে মৃত দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে বাড়ির লোকজনসহ আশপাশের লোকজন গিয়ে নূরুন্নাহার মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়। খবর পেয়ে নূরুন্নাহারের পরিবারের লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। পরে তারা নূরুন্নাহারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত গৃহবধূর চাচা হারিছ মিয়া বলেন, নূরুন্নাহার সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। তার এমন মৃত্যু মানতে পারছি না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশের কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি।
তবে নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রেজিয়া খাতুন জানান, শনিবার রাতে সবাই এক সাথে কথাবার্তা বলার পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যায় ছেলে বাবুল ও পুত্রবধূ নূরুন্নাহার। ভোরে বাবুল মিয়া মাছ ধরতে বিলে যায়। পরে ঘরে এসে নূরুন্নাহার মারা গেছে বলে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আমরা গিয়ে দেখি নূরুন্নাহার মারা গেছে। ঘুমের মধ্যেই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, নিহত গৃহবধূর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Discussion about this post