ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে দুটি কাউন্টারের একটি বন্ধ থাকায় টিকিট বিক্রিতে চরম বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে। যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও যথাসময়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন না। কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কালোবাজারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছেন অথবা ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া জনবল সংকটের জন্য স্টেশন মাস্টার নিজেই টিকিট বিক্রিতে সহায়তা করছেন। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি কাউন্টারের একটি ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। অপর কাউন্টার থেকে অত্যন্ত ধীর গতিতে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় টিকিট প্রত্যাশি যাত্রীদের লাইন স্টেশন ছাড়িয়ে বাহিরে রিকসা স্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে গেছে।
কাউন্টারে পুরুষ যাত্রীদের পাশে ১০-১৫জন অসহায় মহিলা যাত্রী পৃথক লাইনে দাঁড়ালেও কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। লাইনের পিছন দিকে দাঁড়ানো পুরুষ যাত্রীরাও ট্রেন আসার সময় প্রায় হয়ে গেছে অথচ টিকিট দিতে দেরি হচ্ছে বলে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
খোঁজ নিতে টিকিট কাউন্টারের ভেতর দেখা যায় বুকিং সহকারি রাকিবুল হাসান যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিকিট দিচ্ছেন আর পাশে কম্পিউটারের সামনে দাঁড়িয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ নিজেই টিকিট প্রিন্ট করছেন। তবে কম্পিউটার ও প্রিন্টার অত্যন্ত পুরনো বলে টিকিট প্রিন্ট হতে সময় অনেক বেশী লেগে যায়। তাই যাত্রীদের টিকিট দিতে দেরি হয়। অন্যদিকে টিকিট দিতে দেরি হয় বলে ট্রেন এসে গেলে বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী বাহির থেকে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট সংগ্রহ করেন। অনেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে ফিরে যান।
শিলাসী গ্রামের ট্রেন যাত্রী ফরিদ মিয়া বলেন, এই স্টেশনে সব আন্তনগর ট্রেন দাঁড়ায় বলে গফরগাঁও ছাড়াও ত্রিশালের একাংশ, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়াসহ পাশ্ববর্তী প্রায় ৮টি উপজেলার শতশত যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু একটি কাউন্টার বন্ধ থাকায় প্রতিদিন চরম বিশৃংখলা ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ বলেন, কি করবো বলেন দুটি কাউন্টারের জন্য ৬ জন লোক দরকার। কিন্তু আছে তিন জন। আট ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন ডিউটি করে। আর ভীড়ের সময় একজনের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই একটি কাউন্টার বন্ধ রেখে নিজেই সহায়তা করছি।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post