জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই তারিখ ধার্য করেন। পৃথক আদেশে একই আদালত ডিআইজি মিজান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) এনামুল বাছিরের মধ্যে ঘুষ লেনদেনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একই তারিখ ধার্য করেছেন। অন্যদিকে দুই মামলায় ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন ও এক মামলায় এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
রবিবার এই মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন। গত বছর ২ জুলাই পুলিশ মিজানকে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মাহদুদুল গত বছর ৪ জুলাই আত্মসমর্পণ করেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছর ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর : এদিকে রবিবার মামলার ধার্য তারিখে ডিআইজি মিজানের পক্ষে উভয় মামলায় পৃথকভাবে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। দুদকের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে একই আদালত জামিনের আবেদন পৃথকভাবে নামঞ্জুর করেন। এর আগেও কয়েকবার তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
এদিকে ঘুষ লেনদেনের মামলায় এনামুল বাছিরের জামিনের আবেদন করলে তাও নামঞ্জুর করেন একই আদালত।
Discussion about this post