আজও জামিন হয়নি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার । আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন শুনানি মূলতবি করেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছর দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্র্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্র্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
এ সময় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় পার্থনা করেন। তারা বলেন, এখনও খালেদা জিয়ার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকী। এগুলো শেষ করে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এসময় এর প্রতিবাদ জামিন অন্তবর্তী জামিন প্রার্থনা করেন। পরে আদারত ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সংশ্নিষ্ট শাখায় গত ১৪ নভেম্বর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে কার্যতালিকাভুক্ত হয়।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই মামলায় তার ১০ বছর দণ্ড হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন।
Discussion about this post