
একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, তার ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত কক্সবাজারের জেলেরা। ২২ দিন নিধেষাজ্ঞার পর সাগরে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়লেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উপকূলে ফিরে আসতে বাধ্য হন জেলেরা। বেকার জেলেদের পাশাপাশি লাখ লাখ টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকদের।ইলিশের প্রজনন মৌসুমের কারণে অক্টোবরে ২২ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ শিকারে যান কক্সবাজার উপকূলের লক্ষাধিক জেলে। জেলেদের জালে ধরা পড়ে ইলিশ, রূপচাঁদা, রিটা, টুনা, সুরমাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ।কিন্তু হঠাৎ আসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সতর্ক সংকেত ও সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে হয় জেলেদের। গত ৪ দিন ধরে বেকার হয়ে ট্রলারেই দিন কাটছে জেলেদের।তারা বলেন, সাগরে গেলে আমাদের পেট চলে, নয়তো চলে না। সব ট্রলার চলে এসেছে। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা বসে থাকলে তো কেউ আমাদের খবর রাখে না।আর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও উপকূলের ঘাটগুলোতে মাছ বেচাকেনা না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকরা। তাদের দাবি, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে জেলেদের মাছ শিকারে পাঠালেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে লোকসান পিছু ছাড়ছে না।মালিকরা বলেন, আমরা বসে আছি। আমাদের ব্যবসা আর চলছে না। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকান মতো চালান। সে চালানের টাকাও এখনও ওঠেনি।
Discussion about this post