মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি’র একজন প্রায়ত বীর মুlক্তিযোদ্ধার আকুতি ছিল, যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের লাস দাফন করতে পারেন নাই। সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরনে একটি সৃতিসৌধ নির্মাণ করা। সেই লক্ষই সামনে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার ব্যক্তিগত উদ্যেগে ঝালকাঠি-বরিশাল মহসরকের পার্শে¦ অনুমোদন নিয়ে ষাটপাকিয়ায়, একটি স্বৃর্তিসৌধ নিমার্ণ করেন। স্বাধীনতার পর থেকেই তিনি এই স্বপ্ন লালন করে আসছিলেন।
অবশেষে ২০১৭ সালে এ মহৎ কাজটি শুরু করেন। নিজ অর্থায়নে প্রায় পঞ্চাশ সতাংশ কাজ শেষ করেন। তবে গত ২৬ জুন ২০১৯ইং তারিখ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের স্বপ্ন কি পুরন হবে না? এমন আক্ষেপ করে কেঁদে কেঁদে জানালেন তারই পুত্র মো:মাসুম হাওলাদার। স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকারের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে, আমার বাবার স্বপ্নের কথা বলতে পারলে হয়ত, তাঁর (বাবার) স্বপ্ন পুরন করতে পারতাম। বাবার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর নাম রেখে একটি বৃদ্ধাশ্রাম করা। তার পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি কবরস্থান তৈরি করা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় অনেক সহযোদ্ধাদের মারা যাওয়ার পর দাফন দিতে পারেননি তিনি। দেশজুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃতদেহ খেয়ে ফেলেছে কুকুর, কাক,
শকুনে। নিখোঁজ রয়েছে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়। এ সকল কথা বাবার কাছ থেকেই জেনেছে বলে, মাসুম জানায়। প্রধানমন্ত্রী বরাবর, ৩১/৭/২০১৭ইং তারিখ শহিদ স্বৃতি রক্ষা পরিষদ’র নামে আর্থিক সহায়তা চেয়ে একখানা লিখিত আবেদন পত্র দাখিল করেছিলেন। তার কোন উত্তর আমার বাবা পায়নি। জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময় বরিশালের কোতয়ালী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দক্ষিনাঞ্চলে নলছিটি থানা আক্রমনের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের সুচনা হয়েছিল। ৯ এপ্রিল যুদ্ধকালীন সময়ে মাঠ পরিদর্শন করতে এসে, ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল একরাত্র কাটিয়েও গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত. মফিজ উদ্দিন হাওলাদার ঝালকাঠি জেলার নলছিঠি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাজারস্থ প্রেমহার গ্রামের মৃত কাশেম হাওলাদার এবং মৃত. করিমোন বিবির সন্তান ছিলেন।একাধীক স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী, মফিজ ভাইয়ের স্বপ্ন স্বৃতিসৌধ’র নির্মান কাজ সরকারেরপৃষ্টপোষকতায় সমাপ্ত করা হোক। কতটুকুই কাজ আর বাকি রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের স্বপ্ন পুরনের দাবী জানান।
Discussion about this post