সাব্বির হোসেন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাংগাইল সখিপুর উপজেলা হতিয়া কেরানি পাড়া গ্রামের দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করা হয় সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়ন তক্তাচালা বাজারে।
এ সময় বক্তব্য দেন রাইসার মা নিপা আক্তার, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান রবিন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রনি, বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ তারা সকলেই হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি করেন একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুমনের মা ও ভাইকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নিহত রাইসা ওরফে বুশরা উপজেলার হতিয়া কেরানি পাড়া গ্রামের ইরাক প্রবাসী রাজু খানের মেয়ে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দি দেওয়ার সময় সুমা সম্পর্কে রাইসার প্রতিবেশী দাদি। এ বিষয়ে সখিপুর থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান ও তার স্বামী আরমান খানকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন এই হত্যার সাথে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাহলে তদন্ত করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
নিখোঁজ ৫ ঘন্টা পর সোমবার রাত দশ টায় উপজেলা হতিয়া কেরানিপাড়া দাদির রান্নাঘর থেকে রাইসার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রাইসার মা নিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ প্রতিবেশী আরমান খান (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমা খানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেন। বুধবার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। একই দিন সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুমা খান শিশু রাইসা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তবে স্বামী আরমান খান আদালতে এই হত্যার দায় অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে রাইসার মা নিপা আক্তার এলাকাবাসীর কাছে দোওয়া চেয়েছেন, আমার কলিজার টুকরো রাইসা কে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়।
Discussion about this post