ঘনিয়ে আসছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বাড়ছে প্রচার প্রচারণা ও নির্বাচনী উত্তাপ।
দিন রাত বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তুলছেন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগও। আইনের ব্যতয় ঘটানোয় নির্বাচন কমিশন থেকে নোটিশ পাঠানোর ঘটনাও দেখা গেছে।
সবশেষ দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী সমন্বয়কদের নিয়েও আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ ওঠে। উত্তর সিটির সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ ও দক্ষিণ সিটির সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু দুজনই বর্তমান সংসদ সদস্য। তারা প্রচারণায় না নামলেও ঘরোয়াভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সেটাও তারা আইন অনুযায়ী করতে পারেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ (শনিবার) দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এমপিরা সবকিছুই করতে পারবেন। কেবল নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের কোন সম্পৃক্ততা, নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের কোন প্রচারণা এবং নির্বাচনী কার্যক্রম তারা করতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন সমন্বয় তারা করতে পারবেন না। ঘরেই হোক বা বাইরে হোক, তারা নির্বাচন সংক্রান্ত কোন কাজই করতে পারবেন না। এটাই আাচরণবিধিতে বলা হয়েছে। তবে, নির্বাচনের বাইরে যে কাজ, সেখান থেকে নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ ইসির নেই।
এদিকে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন কিছু করবেন না বলে জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। নির্বাচনী আচরণ বিধি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধির ব্যাখ্যার মধ্যে স্ববিরোধীতা আছে। আমাদের ব্যাখ্যায় ইসি একমত হয়েছে। কিন্তু তারা বলেছে, এখন তাদের কিছু করার নেই। এখন বিধি সংশোধন করা হলে মানুষ ভালো চোখে এটাকে নেবে না।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উত্তর সিটিতে মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন আর দক্ষিণে এ সংখ্যা ৭। উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন, ভোটকেন্দ্র ১৩৪৯টি, ভোটকক্ষ ৭৫১৬টি। দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন, ভোটকেন্দ্র ১১২৪টি এবং ভোটকক্ষ ৫৯৯৮টি।
Discussion about this post