অসমেয়র বৃষ্টি আর তীব্র শীতে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে তিন থেকে চার কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া তীব্র শীতে এক সপ্তাহ ধরে জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না। বন্ধ হয়ে গেছে মাছ ধরা। বৈরী এই আবহাওয়ায় সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বনবিভাগ ও দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর শুঁটকি মৌসুমের পাঁচ মাসে শুধুমাত্র দুবলার শুঁটকি খাত থেকে দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছে বনবিভাগ। মৌসুমের প্রথম মাসে (নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চরের জেলেঘর বিধ্বস্তসহ শুঁটকির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ওই মাসে মাত্র ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। চলতি মাসেও (ডিসেম্বর) বৃষ্টিতে অনেক মাছ নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া তীব্র শীতে মাছ ধরতে না পারায় ব্যাপক লোকসান হবে মহাজন, জেলে ও বনবিভাগের।
দুবলার চরের জেলে সংগঠন ফিশারমেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল আহমেদ জানান, এক সপ্তাহ ধরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তীব্র শীতে সাগর ছেড়ে সমস্ত জেলে শুঁটকি পল্লীর বাসায় অবস্থান করছে। মাছ না থাকায় শুঁটকি পল্লীর মাচাগুলো খালি পড়ে আছে। তাছাড়া, বৃষ্টিতে চারটি চরের তিন থেকে চার কোটি টাকার মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
পূর্ব বনবভিাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, দুবলার জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির আওয়াতায় এ বছর শুঁটকি উৎপাদনের জন্য অফিসকিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া ও শেলারচরসহ চারটি চরে বনবিভাগ থেকে ৯০০ জেলেঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব চরে প্রায় ১২ হাজার জেলে শুঁটকি তৈরি কাজে নিয়োজিত।
মো. জয়নাল আবেদীন আরো বলেন, মৌসুমের শুরুতে এবং মাঝামাঝি সময়ে এসে কয়েক দফা দুর্যোগে অনেক ক্ষতি হয়েছে শুঁটকি পল্লীর। বৃষ্টিতে অনেক টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে। যার ফলে, এই বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post