মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যায় গাম্বিয়ার করা মামলায়, নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) তৃতীয় দিনের দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে গাম্বিয়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন এবং পরে মিয়ানমার করবে। এরপর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করতে পারেন।
গতকাল শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চি আদালতের সামনে তাঁর বক্তব্যে ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের কথা স্বীকার করলেও জেনোসাইডের অভিযোগ নাকচ করেছেন। লাখ লাখ রোহিঙ্গার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের তথ্য আড়াল করে তিনি তাদের বাস্তুচ্যুতির জন্য দায়ী করেছেন কথিত রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, সংক্ষেপে আরসাকে।
আদালতের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও রাখাইন রাজ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একপর্যায়ে সু চি বলেন, ‘ব্রিটিশরা যখন ১৯৩৭ সালে উপনিবেশ বার্মাকে (মিয়ানমার) ব্রিটিশ ভারত থেকে আলাদা করেছিল তখন বার্মা ও ভারতের সীমান্ত টানা হয়েছিল নাফ নদ বরাবর। আজ একে আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা হিসেবে দেখতে পাই।’
Discussion about this post