চালক ও সহকারী চালকের ‘সংকটের’ কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে একটি মেইল ট্রেন ছাড়তে কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময় তাঁদেরকে বিশ্রাম দিতে গিয়ে ট্রেনটি কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হয়।
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস (৩৭ আপ) ট্রেনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের তিন নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল। রাত দেড়টায় ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহগামী ট্রেনটি রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে প্রবেশ করে। নিয়ম অনুসারে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা চালক ও সহকারী আখাউড়া স্টেশনে নেমে যাবে। অন্যদিকে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস (৩৮ ডাউন) ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক, যারা আখাউড়া নামেন তাঁরা ৩৭ আপকে নিয়ে যাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ছয় ঘণ্টা বিলম্বে রাত ৭টা ২০ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করলে ওই ট্রেনের চালক ও সহকারী বিশ্রাম চলে যান। নিয়ম অনুসারে সর্বনিম্ন ছয় ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে আবার ট্রেনে উঠতে পারবেন। যে কারণে রাত দেড়টার আগে তাঁরা ট্রেনে উঠতে পারছেন না।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের লোকোশেড ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, ৩৭নং ট্রেনের চালক ৩৮নং ট্রেন নিয়ে যাবে- এভাবেই লিঙ্ক করা আছে। গতকাল মঙ্গলবার ৩৮নং ট্রেনটি বিলম্ব হওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিয়ম অনুসারে একজন চালককে আট ঘণ্টা বিশ্রাম দিতে হয়। তবে সে বিশ্রাম ছয় ঘণ্টার কম দেওয়া যাবে না। সেই হিসেবে রাত দেড়টার আগে ট্রেনটি চালানো সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ভয়বাহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৮ জন মৃত্যুর পর থেকে চালকের বিশ্রামের ব্যাপারে বেশ সতর্ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় চালককে দায়ী করা হলে সতর্কতা বেড়ে যায়।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post