পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মুজাফফরাবাদ গ্রামে তারেক হোসাইন খোকন (১৮) নামের এক কাজের ছেলে খুন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় খরনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকার মো. হাসেমের বাড়ির পেছনের পুকুর পাড় থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মোহরাকাটা গ্রামের মৃত উকিল আহমদের ছেলে তারেক হোসাইন খোকন খরনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুজাফফরাবাদ গ্রামের মো. হাসেমের বাড়িতে গত দুই বছর যাবৎ কামলার কাজে নিয়োজিত ছিল।
সে গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির মালিক মো. হাসেম ২৩ নভেম্বর পটিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বাড়ির মালিক মো. হাসেমের বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে একটি গর্তে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।
তবে নিহতের ভাই গিয়াস উদ্দিন জানান, গৃহকর্তা মো. হাসেম তার ছোট ভাই তারেককে খুন করে লাশ গুম করতে চেয়েছিল।
বাড়ির মালিক মো. হাসেম জানান, গত ২২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তারেক হোছাইন খোকন ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি। রাত ১০টার দিকে কাজের অপর ছেলে আমাকে ফোন করে বলে খোকনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমি বান্দরবানে অবস্থান করি। এর পরের দিন বাড়িতে এসে খোকনকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৩ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে পটিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করি।
পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো. খালিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের রক্তে মাখা শার্ট ও তার নাকে, মুখে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চমেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে মেরে পুকুর পাড়ের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক মো. হাসেম ও কাজের ছেলে নাঈমকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post