ছোট বাচ্চারা যাতে নামাজ পড়তে উৎসাহিত হয় সেজন্য এক দারুন ব্যবস্থা করলেন এক ভাই। তার নিকটস্থ মসজিদে চকলেটের বক্স কিনে ঝুলিয়ে রাক্ষার ব্যবস্থা করলেন তিনি। এতে বাচ্চারা মসজিদের এবং প্রতি আরো আকৃষ্ট এবং নামাযের প্রতি আরোও গুরুত্ব দিবে।
বর্তমান যুগে বাংলাদেশে ছোট বাচ্চারা মসজিদ, নামাজ থেকে দিনে দিনে দূরে সরে যাচ্ছে। একে তাদের মা-বাবারাওআখিরাতের জীবনের চেয়ে এই জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াশোনায় চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে তারা বাচ্চাদেরকে নামাজের জন্য উৎসাহিত করছেনা। গুটিকয়েক যে বাচ্চারা নামাজ পড়ে তাদেরকেও দুষ্টামির জন্য বকা-ঝকা দিয়ে মসজিদের প্রতি ক্ষোভ তৈরি করছে।
তুরস্কের বেশিরভাগ মসজিদ গুলোর সামনে একটা লেখা থাকে, “নামাজ পড়ার সময় যখন দেখবেন পিছনের কাতার থেকে বাচ্চাদের দুষ্টামির শব্দ আসেনা, তখন বুঝবেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে”। এই বিষয়টিই বর্তমান সমাজের বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পারছে না। বাচ্চাদের উৎসাহিত করবে তো দূরের কথা, মসজিদে গেলে উলটো তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এক ভাই বাচ্চাদেরকে মসজিদের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য মসজিদে চকলেট ঝুলিয়ে রাখেন। এতে বাচ্চারা অন্তত চকলেটের লোভে তাদের মন থেকে এ ভয়টা দূর হবে যে, না মসজিদের খাদেম এবং বাকিরা অনেক ভালো, আমরা মসজিদে গেলে আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে।
এ বিষয়ে ভাইটি বলেন, “মন খারাপ হয়ে যায় যখন মসজিদে শিশুদেরকে ধমক দিতে দেখি। মসজিদে শিশুরা যেন বেশি যায় তার জন্য মসজিদে চকলেট দিয়ে এসেছি । যে শিশুরা একদিন ওমর ( রা ) , খালিদ বিন ওয়ালিদ , সালাউদ্দিন আইয়ুবী মত হবে তাদেরকে কেউ মসজিদে আসতে নিষেধ করতে পারে না । এখন মসজিদগুলোতে মকতবের মত বাচ্চাদের নীতি নৈতিকতা শেখানো হয় না , মসজিদ থেকে সামাজিক কাজ পরিচালিত হয় না । অথচ এই মসজিদ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়েছে । সমাজকে পরিবর্তনে জন্য কথার তাবিজ নয় , বাস্তবভিত্তিক কাজ দিয়ে পরিবর্তন করতে হবে । শিশুদেরকে ভালোবাসাতে হবে । একটি মসজিদকে সর্বস্তরের মানুষের জন্য মডেল তৈরি করতে হবে যেন সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বৃদ্ধ -শিশু, ধনী-গরীব , শাসক-প্রজা , মালিক-দারোয়ান সবাই এক সাথে কাধ মিলিয়ে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ তৈরির জন্য কাজ করতে পারে । মসজিদ থেকে ধমক খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে কোন শিশু বাড়ি ফিরবে না বরং ফেরেশতার মত একটা শিশু খুশি মনে চকলেট খেতে খেতে বাড়ি ফিরুক এই প্রত্যাশা করুন ।”
আল্লাহ তার এ উদ্যেগ কবুল করুক।
Discussion about this post