জনসংখ্যা কম বলে ভারতের আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ তালিকাভুক্ত করার আবেদন খারিজ হয়ে গেল দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের ওই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ।
আজ মঙ্গলবার তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাধীনতার পর ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলো বানানো হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্যগঠন হয়নি। কোন ধর্ম গোটা ভারতের জন্য? তাকে কোনো ভৌগোলিক গণ্ডিতে আটকে রাখা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি বোবদে আজ এও জানান, এ ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রায় অতীতে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে শুধুই ভাষার ভিত্তিতে। তা রাজ্যের ভিত্তিতে হয়নি। বোবদে বলেন, কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে পার্সি, তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজনটা কোথায়?
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের ওই আবেদনের পক্ষে আজ ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী মোহন পরাশরণ। তিনি বলেন, কোনো রাজ্যে কোনো সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার নিরিখে সেই সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে কোনো গাইডলাইন নেই। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যা যথেষ্টই কম। তা সত্ত্বেও ওই সব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ফলে, সংখ্যালঘুদের প্রাপ্য সুযোগসুবিধা তারা পাচ্ছেন না।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু শ্রেণি নির্ধারণের আবেদনের বিরোধিতা করেন। আজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল অতীতের সংশ্লিষ্ট মামলার রায়গুলোর উল্লেখ করে বলেন, ভাষার ভিত্তিতেই সংখ্যালঘু নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্য কিছুর ভিত্তিতে নয়।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post