রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে দুই ভবনের মাঝ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ওপর থেকে পড়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা। আজ বৃহস্পতিবার নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর আগে ওই তরুণী ধর্ষিত হয়েছে বলে সন্দেহের কথা জানান চিকিৎসকরা।
ময়নাতদন্তের পর ওপর থেকে পড়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্ষণের সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য হাইভেজেনাল সপ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা (২১)। তিনি রাজধানীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বিবিএর শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা একজন পুলিশ পরিদর্শক।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, বিকেল ৩টায় হাসপাতাল মর্গে ওই তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয। মৃত্যুর আগে ওই তরুণীর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ থেকে হাইভেজেনাল সপ নমুনা, ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা দ্রুত পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তবে উপর থেকে পড়েই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত পৌনে এগারটার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে দুই বাড়ির মধ্যে থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট। সেখানে তারা বিভিন্ন আলামতসহ ওই নারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে।
এ বিষয়ে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর পর রমনা থানা পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো কি না বা অন্যকিছু ঘটেছিলো কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আমরা পরীক্ষার আবেদন করেছি। ঘটনার পিছনে যে বা যারাই থাকুক তাদের খুঁজে বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পরিচয় পাওয়ার পর এখন যদি তার পরিবার সম্পুরক অভিযোগ করে তবে আগের মামলায় সংযুক্ত করা হবে।
কালেরকন্ঠ
Discussion about this post