ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ/ক্যা) প্রত্যাহারের দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল, শনিবার বিকেলে কোলকাতার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে মমতা ওই দাবি জানান।
পরে এদিন সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ কোলকাতার রানী রাসমণি রোডে সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময়ে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের ৩৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। দ্রুত সেই টাকা মেটানোর দাবি জানিয়েছি। নাগরিক আইন নিয়ে আপত্তির কথাও জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকে তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন। মমতা বলেন, ‘যতবার রাষ্ট্রপতি এসেছেন, প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, আমি দেখা করেছি। (রাজ্যের মন্ত্রী ও কোলকাতার মেয়র) ফিরহাদ হাকিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। বুলবুলের ১০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। মোট ৩৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। আমাদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, ক্যাব, এনপিআর, এনআরসি-আমরা তিনটেরই বিরুদ্ধে। মানুষে মানুষে বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। কেউ যেন বাদ না যান, কারও উপরে যেন অত্যাচার না হয়, সেটা বলেছি। সিএএ আর এনআরসি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন, আমরা চাই এটা প্রত্যাহার করা হোক। উনি বলেছেন, এখন তো রাজ্যে এসেছি, প্রয়োজনে দিল্লিতে কথা বলে নেব।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের সমালোচনা করেছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা একে উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া বলে মনে করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য একে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বলে মন্তব্য করেছেন। #
সূত্রঃ পার্সটুডে
Discussion about this post