স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের উপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে বিদ্যমান মূসক সুবিধা আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টায় সংসদের বিশেষ বাজেট অধিবেশনে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভতিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত ১১০ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেছেন।
জনস্বার্থ ও দেশিয় শিল্পের বিকাশের জন্য মূসক হার পরিবর্তন ও অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের উপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে মূসক বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। দ্রুত বর্ধনশীল এ খাতের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উক্ত সুবিধা আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন। এ শিল্পে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেলুলার ফোন উৎপাদন উৎসাহিত করা ও সংযোজন শিল্প প্রসারে উক্ত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা আরও বিনিয়োগ বান্ধব ও যৌক্তিকীকরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, এ শিল্পের প্রতিরক্ষণ এবং আমদানি পর্যায়ে সঠিক মূল্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে যথাযথ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে সেলুলার ফোনের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
এছাড়া, এ শিল্পের প্রতিরক্ষণ এবং আমদানি পর্যায়ে সঠিক মূল্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে যথাযথ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে সেলুলার ফোনের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
বর্তমানে দেশে আটটটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন করছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল।
৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
Discussion about this post