যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে। তার এই মৃত্যুর সাথে জড়িয়ে থাকছে এক নারীর নাম যার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল বাগদাদি।
মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের যে অভিযানে বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে সেই অভিযানটির নাম ছিল ‘কায়লা মুয়েলার’। এই কায়লা মুয়েলার ছিলেন একজন মার্কিন দাতব্য কর্মী, যাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করেছিল বাগদাদি। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, কায়লা মুয়েলারের নামেই ‘কুকুরের মতো’ মরতে হলো তাকে।
২৬ বছর বয়সী কায়লা মুয়েলার ২০১২ সালে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে প্রথম তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে যান। ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে অপহৃত হন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন তার অবস্থান নিয়ে রহস্যময়তা ছিল।
জিম্মি থাকার সময় ২০১৪ সালে বাবা-মাকে পাঠানো এক চিঠিতে মুয়েলার লিখেছিলেন, ‘তোমরা কান্নাজড়িত যেসব চিঠি আমাকে পাঠিয়েছ, সেগুলোর কথা চিন্তা করে আমি কেবল চিঠিই লিখতে পারি। আমি জানি, তোমরা তীব্রভাবে আমাকে ফিরে পেতে চাও। আমি সে জন্য চেষ্টা করছি।’
২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিশ্চিত করেন যে, মুয়েলার নিহত হয়েছেন। আইএসের হাতে আটকের পর নিহত চতুর্থ মার্কিনী তিনি। তার মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। আইএস দাবি করেছিল, জর্ডানের বিমান হামলায় মুয়েলার নিহত হয়েছেন। তবে পেন্টাগন দাবি করছিল, আইএসই যে তাকে হত্যা করেছে। বাগদাদি নিজেই মুয়েলারকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করেছে বলে জানিয়েছিলেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা। কয়েকটি সূত্র আবার বলছিল, মুয়েলারকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল বাগদাদি।
Discussion about this post