দুই দিন বিরতির পর আবারো মাঠে গড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর। আজ থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম পর্ব। বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে খুলনা টাইগার্স এবং রাজশাহী রয়্যালস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিশাল পুঁজি পায় রাজশাহী। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ম্যাচে খেলতে নেমে মাত্র ৫০ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রাজশাহী রয়্যালসের পাকিস্তানি তারকা শোয়েব মালিক। যেখানে চারটি ছক্কা এবং আটটি চার মারেন তিনি। মালিক ছাড়াও দুর্দান্ত খেলেছেন রবি বোপারা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ৪০ রান। দুইটি ছক্কা এবং দুইটি চারের সাহায্যে এই ইনিংস সাজান তিনি।
এদিকে, ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে মুশফিকুর রহিমের খুলন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন শান্ত। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান রাজশাহীর অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। মাত্র ৭ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে রাইলি রুশোকে সাজঘরে ফেরান রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৩৫ বলে ৪২ রান করে উইকেট রক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ফলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ৭২ রানের জুটি ভাঙে।
দলীয় ৯৭ রানের মাথায় রুশো বিদায় নিলে দারুণ ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ২১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ৯৬ রানে করে আউট হন তিনি! মুশি সাজঘরে ফিরলেও পরের বলে চার মেরে খুলনাকে জয় এনে দেন রবি ফ্রাইলিংক।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারলো না রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলদের দেওয়া ১৯০ রানের টার্গেট ২ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিকুর রহীমের দল।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post