সিম পুনঃনিবন্ধন শুরু হচ্ছে আগামী রোববার থেকে। একই সঙ্গে যাদের সিম সঠিকভাব নিবন্ধিত রয়েছে তাদের তথ্যাদি যাচাই করতে হবে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে সিম নিবন্ধন ও যাচাই না করলে সিম বন্ধ করে দেয়া হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে তিনি টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ’র সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা ইতোমধ্যে সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন করছেন, তাদের নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। তাদেরকে শুধু নিবন্ধন যাচাই করে নিতে হবে। তবে যাচাইয়ে যাদের নিবন্ধন সঠিকভাবে হয়নি বলে দেখা যাবে, তাদের সিম পুনঃনিবন্ধন করাতে হবে।” তারানা হালিম বলেন, “গ্রাহকরা কীভাবে সিম যাচাই বা পুনঃনিবন্ধন করবেন, সেই প্রক্রিয়া আগামী রোববারের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে।” তারানা হালিম বলেন, যাদের অলরেডি সিমকার্ড আছে তারা ভেরিফাই করে নেবেন এবং সেটাকেই আমরা রেজিস্ট্রেশনের মধ্যে আনছি। আর নতুনগুলো যথানিয়মে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। পাশাপাশি যে রিটেইলার এবং ডিস্ট্রিবিউটররা আছেন, তাদের সঠিক পরিসংখ্যান, নাম-ঠিকানা কোনো সময়ই পাই না। যে কারণে অনিয়ম ঘটে থাকে। আমরা মোবাইল অপারেটরদের বলেছি, সিম বিক্রিতে যারা রিটেইলার-ডিস্ট্রিবিউটর আছেন তাদেরও ভেরিফাইড হতে হবে। তাদের একটা ডাটাবেইজ তৈরি করব। ভেরিফিকেশন এবং পুনঃনিবন্ধনের সাড়া পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঠিকভাবে হলে সময় বৃদ্ধি করতে পারি। অথবা যদি দেখি, সঠিকভাবে হচ্ছে না তখন বন্ধ করে দেবো। সিমকার্ডের নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলেও জানান তারানা হালিম।
সিমকার্ড ভেরিফিকেশন ও পুনঃনিবন্ধনের বিষয়ে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এনআইডি’র সঙ্গে চুক্তি হলে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। অনলাইনে করার জন্য আমরা প্রস্তুত। বিটিআরসি’র কাছে এনআইডি’র একটা লুপ থাকবে। সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবৈধ সিমের মাধ্যমে চাঁদাবাজি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়। আমরা তাদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে চাই।
Discussion about this post