
মোবাইল ফোন কম্পানির টাওয়ার থেকে বেরোনো উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় (রেডিয়েশন) বিকিরণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় সব স্পর্শকাতর স্থান থেকে মোবাইল টাওয়ার দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত রায় প্রদানকারী বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে স্পর্শকাতর জায়গা বলতে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছাড়াও হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজকে বোঝানো হয়েছে।
২০১৭ সালের মার্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে জানানো হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন কম্পানির টাওয়ার থেকে বেরোনো তেজস্ক্রিয় (রেডিয়েশন) বিকিরণ উচ্চমাত্রার। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ প্রেক্ষাপটে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ওই বছরের ২৮ মার্চের মধ্যে আদালতকে জানাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
হাইকোর্টের নির্দেশনার পর গঠিত কমিটি মতিঝিল, গুলশান ও মিরপুর এলাকায় ছয়টি মোবাইল কম্পানির ১৮টি টাওয়ারের (প্রতিটির তিনটি করে) তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মাপে। এসব টাওয়ারের মধ্যে মাত্র একটিতে মাত্রাতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যায় বলে সাবকমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি যে সুপারিশ তুলে ধরে তা গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আদালতে উপস্থাপন করে। ওই প্রতিবেদনে রেডিয়েশনের মাত্রা তুলে ধরা হয়।
Discussion about this post