শোয়েব আখতারের কাছে সাহস ও সমর্থন পাওয়ার পর একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন সাবেক পাকিস্তানি স্পিনার দানিশ কানোরিয়া। এবার তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তানের সরকার বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড- কেউ তার নির্বাসিত থাকার সময়ে কোনো সহায়তা করেনি। শোয়েব বলেছিলেন, দানিশ কানেরিয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় পাকিস্তান দলে কিছুটা ব্রাত্য ছিলেন। কেউ তার সঙ্গে খেতে পর্যন্ত চাইত না। ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ জেতালেও কানেরিয়ার কৃতিত্ব তারা স্বীকার করতে চাননি।
৩৯ বছরের কানেরিয়া বলেছেন, তিনি হিন্দু হলেও মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানের সাধারণ জনতা কখনও তার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেননি। কানেরিয়ার কথায়, ‘আমি হিন্দু হলেও পাকিস্তানের মানুষ কখনও আমার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেননি। আমি গর্বিত যে, সততার সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। এবার আমার ভাগ্য পাকিস্তান সরকারের হাতে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।’
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি এসেক্সের হয়ে খেলার সময়ে দোষী সাব্যস্ত হন কানেরিয়া। তার পরে তাকে আজীবন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়। যে শাস্তি এখনও বহাল রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কানেরিয়া পিসিবিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘নির্বাসনের শাস্তি পাওয়ার পর পিসিবি বা পাকিস্তানি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাইনি। অথচ পাকিস্তানে অনেক ক্রিকেটার আমার মতো দোষ করেও দেশের হয়ে খেলেছে। কারণ বোর্ড তাদের সমর্থন দিয়েছিল। সেই সব ক্রিকেটার পরে সম্মানিতও হয়েছে। এর থেকে এই সিদ্ধান্তেই আসা যায়, শোয়েব আখতার যে বলেছে তা একদম ঠিক।’
নিষেধাজ্ঞার ওই শাস্তি মওকুফ করে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক ক্রিকেটারদের সাহায্যও চেয়েছেন কানেরিয়া, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সহ দেশ ও বিদেশের সব কিংবদন্তি ক্রিকেটারের কাছে সাহায্য চাই এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য। দয়া করে, এগিয়ে আসুন। আমাকে সাহায্য করুন। সমাজে কিছু মানুষ থাকে, যারা বিরোধিতা করতেই থাকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভালবাসা আমার সঙ্গে থাকায় বিরোধীরা কখনও আমাকে হারাতে পারেনি। আমি ইতিবাচক থেকেছি সবসময়।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post