নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ইসলাম ধর্মের ছেলে ও হিন্দু ধর্মের মেয়ের মধ্যে বিয়ের ঘটনায় নবদম্পতিকে মারধর করেছে পুলিশ। এতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন পুলিশকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।
রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় চকলেট ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাংক কলোনী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গিরের ছেলে রফিক (২১) ও স্থানীয় এক হিন্দু মেয়ের (১৫) মধ্যকার প্রেমজনিত সম্পর্কের পর সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর তারা আদালত থেকে বিয়ের অনুমতি নিয়ে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি দুই পরিবারকে একত্রিত করে বিয়ের আয়োজন করে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত ৯টায় সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমানের নেতৃত্বে তিনজন সাদা পোশাকের কনস্টেবল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের সদস্যরা পাত্র-পাত্রীর হাত পেছনে দিয়ে হাতকড়া লাগিয়ে রাস্তার ওপর মারতে মারতে তাদের আটক করে নিয়ে যেতে থাকে।
কোর্ট থেকে বিয়ের অনুমতি নিয়ে আসার পরেও পাত্র-পাত্রীকে মারধর করতে দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশদের একটি দোকানের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল গিয়ে আটকে রাখা পুলিশ সদস্যদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিল। সেটার সমাধান করা হয়েছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
Discussion about this post