ফের জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। আরও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হল। মৌলবাদীদের ভয়ে হিন্দু মেহেক এখন মুসলিম ফতেমা। কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন ওই তরুণীর বাবা। তবে হিন্দু বলে তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ।
অভিযোগ, ২২ বছরের মেহেক কেশওয়ানিকে করাচির ‘ডিফেন্স হাউসিং এরিয়া’ বা সামরিক বাহিনীর এক্তিয়ারে থাকা এলাকা থেকেই অপহরণ করা হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান ওই তরুণী। ঘটনার কয়েকদিন পর প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও ফুটেজ। হতবাক হয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান। হিজাব পরে মুখে কলমা আওড়াচ্ছেন এককালের আধুনিকা মেহেক। জানা যায়, করাচি থেকে সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। সেখানেই মিয়া জাভেদ নামের এক রাজনীতিবিদ তাঁকে ইসলামে দীক্ষিত করেন।
এদিকে, তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, মহম্মদ আসর নামের এক যুবক মেহেককে অপহরণ করেছে। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে কেউই তাঁদের সাহায্য করতে রাজি হননি।
অভিযোগ, শুধু হিন্দু নয়, বহু শিখ কিশোরী ও তরুণীকেও অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে পাকিস্তানে। সদ্য, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটের শোয়েব আখতার বলেন, হিন্দু বলে দলে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল স্পিনার দানিশ কানেরিয়াকে। অনেকেই তাঁর সঙ্গে খাবার খেতে আপত্তি করতেন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন যে মাত্রা ছাড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিশ্লেষকদের মতে, প্রাণ ও ধর্ম বাঁচাতে অনেক পাক হিন্দুর কাছেই শেষ ভরসা ভারত। ফলে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, পড়শি ইসলামিক দেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ।
Discussion about this post