ত্বক ফর্সকারী ক্রিমের উৎপাদন এবং বিক্রয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বিশ্বজুড়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই জনসন অ্যান্ড জনসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ফর্সা হওয়ার ক্রিম না পাওয়া গেলেও মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তারা এটি বিক্রয় করতো। এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের কিছু পণ্যের নাম ও দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা চলছে। আমাদের কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে দাবি করা হয়, আপনাদের ত্বকের স্বাভাবিক রং থাকার বদলে আমাদের ক্রিম ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল করা বা সাদা করা ভালো। তবে এটা বলা কোনোদিনই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। স্বাস্থ্যবান ত্বকই সুন্দর ত্বক। আমরা এই পণ্য আর উৎপাদন করবো না।
শুধু জনসন অ্যান্ড জনসনই না, ইউনিলিভার, প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, ল’রিয়েল’র মতো কোম্পানিগুলো বিশ্বে তথাকথিত ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করে। এই ক্রিমগুলো মূলত নারীদের জন্যই।
কোম্পানিগুলো যে দাবি করে, সেটা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। অনেকেই এই ধরনের ক্রিম বিক্রি বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ নিলো জনসন অ্যান্ড জনসন। এ বিষয়ে অন্য কোম্পানিগুলোর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাজার গবেষণাকারী সংস্থা ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত বছর বিশ্বে প্রায় ৬ হাজার ২৭৭ টন ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি হয়েছে।
Discussion about this post